Save The Hills & Nature
  • নীড়
  • পরিচিতি
  • পরিবেশ
    • জলবায়ু
    • দূষণ
    • দুর্যোগ
  • পর্বতকথা
    • বাংলাদেশ
    • বিশ্ব
    • হিমালয়
    • পর্বতারোহণ
  • বিভাগ
    • জীববৈচিত্র
    • বনাঞ্চল
    • নদী ও জীবন
    • ভ্রমণ
    • জীবন ও সংস্কৃতি
  • কার্যক্রম
    • প্রকৃতি পাঠ
    • প্রতিবেদন
    • গবেষণা ও প্রবন্ধ
  • ছবিঘর
  • যোগাযোগ
Save The Hills & Nature
  • নীড়
  • পরিচিতি
  • পরিবেশ
    • জলবায়ু
    • দূষণ
    • দুর্যোগ
  • পর্বতকথা
    • বাংলাদেশ
    • বিশ্ব
    • হিমালয়
    • পর্বতারোহণ
  • বিভাগ
    • জীববৈচিত্র
    • বনাঞ্চল
    • নদী ও জীবন
    • ভ্রমণ
    • জীবন ও সংস্কৃতি
  • কার্যক্রম
    • প্রকৃতি পাঠ
    • প্রতিবেদন
    • গবেষণা ও প্রবন্ধ
  • ছবিঘর
  • যোগাযোগ
Save The Hills & Nature
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখতে চাই

কল্প লোকের গল্প নয়

পাহাড়ের গল্প

লৌহিত্য মানস লিখেছেন লৌহিত্য মানস
আগস্ট ৩০, ২০২০
বিভাগ বাংলাদেশ
10
lewin

Lewin water painting

(জল রঙয়ে আকাঁ একটি চিত্র থেকে পুরো ঘটনার একটি কল্পিত গল্প বলার প্রয়াস। গল্পের মূল বিষয়বস্তুটি বাস্তব তবে সেই বিষয়বস্তুর সঙ্গে আরও কিছু ব্যঞ্জন যুক্ত করে দিলে পুরো চিত্রটি ফুটে উঠতে পারে চোখের সামনে। জল রঙে আকাঁ চিত্রটি তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার টি এইচ লুইনের অঙ্কিত। চিত্র সম্পর্কে অল্পবিস্তর বর্ণনাও তাঁর লেখায় উল্লেখ রয়েছে। তবে তাতে তো মন ভরে না। মনে হয় তাঁর মুখ থেকে পুরো গল্পটি যদি জানা যেতো! সেই প্রয়াস এখন আর নেই। চিত্রটি লুইন একেঁ ছিলেন ১৮৬৬ সালে। হয়তো ঘটনাটি তারও কিছু দিন আগে ঘটে থাকবে। যাহোক, সেই ঘটনাটির পূর্বাপর আরও অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা নিশ্চয়ই আছে, নিশ্চয়ই তাঁর যাত্রা পথের অসাধারণ চিত্র আছে, আছে সেই সময়ের সেই অধিবাসিদের নানা সুখ, দুখ আর আনন্দের কথাও। আমার প্রয়াস সেই সব অজানা ছোট ছোট ঘটনাগুলোকে কল্পনায় এবং পার্বত্য অঞ্চল ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুরো গল্পের একটি মালা গাঁথা।)

সুউচ্চ পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে দলটি। সাহেব হ্যাট খুলে উচ্চতা পরখ করে নিচ্ছেন। সাথের সঙ্গীদের উচ্চতার চেয়ে সাহেবের প্রতি আকর্ষণ বেশি। সাহেবের প্রতিটি চাল চলনই তারা বেশ আগ্রহ ভরে দেখে। এ মুহূর্তে সাহেবের দৃষ্টি পাহাড়টায় আর সঙ্গীদের তাঁর প্রতি। নৌকা থেকে প্রয়োজনীয় বাক্স-পেটরা নামাতে ব্যস্ত হয়ে গেল কয়েকজন। সাহেবের দলটায় নয় জন মানুষ। তাদের চার জন খুমী, তিন জন ত্রিপুরা, একজন মারমা আর একজন বাঙালি। পাহাড়ি নদী ধরে বেশ অনেকটা পথ উজানে আসতে হয়েছে। দলের বয়োজ্যেষ্ঠ সর্দার গোছের একজন খুমী সাহেবের দিকে এগিয়ে আসে। নিজের ভাষায় জানতে চায় এখন কি করবো। সাহেব বলে দেন কিছুক্ষণ বিশ্রাম আর চা-নাস্তার ব্যবস্থা করতে। সাহেব শক্তপোক্ত একটি বাক্সের উপর বসে কোটের আস্তিন হতে ঘড়ি বের করে সময়টা দেখে নেন। আগুন জ্বালানো হয়েছে আর তাতে চায়ের পানি ফুটানো হচ্ছে। একটি বাক্স হতে কিছু শুকনো খাবার বের করে সাহেবের সামনে দেয়া হলো। চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে সাহেব আবার পাহাড়টি দেখেন। অন্যরা বাঁশের চোঙায় চা পান করছে। কেউ কেউ নিজের সাথে বয়ে আনা কলা পাতায় মুড়ানো স্থানীয় খাবার হতে একটু আধটু খাচ্ছে। সাহেব আগ্রহ নিয়ে তাদের খাবার খাওয়ার দৃশ্যটি দেখতে থাকেন।

দলটি জঙ্গল ধরে পূর্ব দিকে এগিয়ে চলেছে। কিছুক্ষণ পা চালানোর পর দলটি দাঁড়ায়, এখান থেকে চড়াই ভাঙতে হবে। বাক্স-পেটরাগুলো দলের লোকেরা পিঠে বেঁধে নিয়েছে। খাবার যোগ্য পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে সেই পানি কেবল সাহেবের জন্য। অন্যরা ঝিরি কি নদীর পানি দেদারছে পান করতে পারে। ওতে তাদের কোন অরুচি নেই। বড় বড় গাছের ফাঁক গলে  উপরে উঠতে থাকে দলটি। রাস্তা বলতে যা বুঝায় তা এখানে নেই। দু’জন দা হাতে ঝোপ-ঝাড় কেটে পা ফেলার মতো জায়গা তৈরি করে রাস্তা বের করতে ব্যস্ত। সাহেব দলটির ঠিক মাঝেই। মাথায় হ্যাট, পায়ে গাম বুট, গায়ে ছোট কোট আর চুস্ত প্যান্ট পরে সাহেব দিব্যি চড়াই ভেঙে উপরে উঠে চলেছেন। পারেনও বটে! সত্যিই তো সাত সমুদ্র দূর থেকে কোথায় চলে এসেছেন! যদিও কাজের জন্যই আসা। এরই নাম হয়তো চাকুরি। সাহেবের সাথে সাথেই কিছুটা সামনে হাঁটছে একজন খুমী। সাহেবের কখন কি প্রয়োজন হয় তা জোগান দেয়াই তার কাজ। সাহেবের ঠিক পিছনেই বাঙালি লোকটি। তার কাজ মূলত দোভাষীর মতো। ক্ষণে ক্ষণে সাহেবের এই প্রশ্ন সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলেছে সে ভাঙা ইংরেজিতে। যতই উপরে উঠছে জঙ্গল ততই ঘন হতে থাকে। এক ঝাঁক টিয়া দূরে কোন গাছে বসে অবিরাম ডেকে চলেছে। কখনও বুলবুলি, ফুটকি, খঞ্জন, হরিয়ালের ডাক কানে ভেসে আসছে। হঠাৎ বেশ শব্দ করে এক জোড়া রাজ ধনেশ উড়ে গেল। সাহেবের সেকি উচ্ছাস। সত্যিই তো পথের ক্লান্তি ছাড়া এ যেনো একটুরো স্বর্গ। পিছন ফিরে তাকালেই পায়ের তলায় দূরে মেঘেদের আনাগোনা। অনেকটা পথ উঠে আসার পর ছোট ঝর্নার মতো একটা জলধারা পাওয়া যায়। পাহাড়ের ফাটল গলে সুমিষ্ট শীতল পানি নেমে আসছে আর বলছে, হে পথিক আমার বুক চেড়া জলে তৃষ্ণা মিটাও। দলটি কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ায়। যে যার মতো করে জল পান করে নেয়। এরপর বেশ খাড়া। দড়ি বেঁধে তারপর উঠতে হবে এমন জায়গাও আছে। কিছু কিছু জায়গায় পাহাড়ের ফাটল এমন যে, তাতে বাঁশ কেটে সাঁকো তৈরি করে পাড় হতে হচ্ছে। এই জঙ্গলে বাঁশের অভাব নেই। এখানকার মানুষের যাপিত জীবনে বাঁশ অপরিহার্য উপাদান। বাঁশ দিয়ে ঘর তৈরি, জমির উর্বরতার জন্য বাঁশ পোড়া ছাই, ঘরের আসবাব, জল খাবার পাত্র, বাঁশের পাতা ও উপরের মসৃণ ত্বকের মতো অংশটি দিয়ে মাদুর, ফসল তোলা ও রাখার পাত্র, কাপড় বুননের যন্ত্র, আগুন জ্বালাতে, ফাঁদ তৈরি করতে এমনকি রাতে ঘুমনোর জন্য বাঁশ বালিশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জন্ম থেকেই পাহাড়িদের জীবনে বাঁশ মিলেমিশে থাকে আর সেই বন্ধন ছিন্ন হয় মৃতের সৎকারে বাঁশের ব্যবহারের মাধ্যমেই।

অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে অবেশেষে পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছতে পারে দলটি। বেশ ক্লান্ত, কারো কারো শরীরের কাঁটার আঘাতের চিহ্ন। সাহেব রুমাল দিয়ে মুখের ঘাম মুছে হাতের ইশারায় বিশ্রামের নির্দেশ দেন। দলটিও একটু হাফ ছেড়ে বাঁচে। বাক্স-পেটরা পিঠে বয়ে নিয়ে এমন দুর্গম পথ পাড়ি দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।  সকলেরই জলের তৃষ্ণা পেয়েছে। তবে সাহেবের জল ভিন্ন আর কারও কাছে জলের ব্যবস্থা নেই। সাহেবের জলের ভাগ তো আর চাওয়া যাবে না। তাই  একজন ত্রিপুরা ও খুমী যুবক কিছুটা সামনে এগিয়ে যায়। পাহাড়ের ঢালের জঙ্গল হতে বেশ মোটা কুন্ডলি পাকানো কিছু লতা নিয়ে আসে। সেকি অদ্ভুত কাণ্ড! এই লতার ভিতরেই আছে পান যোগ্য জল। তবে সে জল পেতে হলে লতাটি বেশ কায়দা করে কাটতে হয়। সাহেব দুই যুবকের জল সংগ্রহের এই কায়দাটি দেখে যারপরনাই বিষ্মিত হয়েছেন। নিজেও সেই লতার জল পান করে প্রাণ জুড়িয়েছেন। বয়োজ্যেষ্ঠ সর্দার গোছের সেই খুমী মানুষটি আর সাহেব পাহাড়ের উপর হতে পরবর্তী পথের দিশা খোঁজ করছেন। দূরে, যত দূর দৃষ্টি যায় কেবলি মেঘ আর মেঘ, তার ভিতর পাহাড়ের সবুজ চূড়াগুলো উঁকি দিয়ে আছে গগন পানে। হাতের ইশারায় খুমী লোকটি সাহেবকে বুঝিয়ে দিল- সেই যে উঁচু পাহাড় দেখা যাচ্ছে তার পরেই বড় নদী আর সেই নদীর ধারেই যে গ্রাম সেটাই তাদের গন্তব্য। বলতে যতটা কাছে মনে হয়, পথ তার থেকেও অনেক দূর। আরও দিন দুয়েকের পথ। পাহাড় থেকে নেমে আজকে রাতে থাকার মতো ব্যবস্থা করতে হবে। সময় নষ্ট করা যাবে না। বয়োজ্যেষ্ঠ খুমীর তাড়ায় সকলেই ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়ায়। এবার নেমে যাবার পালা। এরজন্য পাহাড়ের শিরদাঁড়া বরাবর দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হতে হবে। পথটা সহজ নয়। সরু রিজ ধরে পিঁপড়ের সারির মতো চলতে থাকে ওরা। একটা সময় থমকে দাঁড়ায়। এখান হতেই নেমে যাবার রাস্তা খোঁজ করতে হবে। অনেকটা খাড়া, তাই দড়ি ব্যবহার করে প্রথম ধাপটা নেমে আসে দলটি। তারপর গাছের গুড়ি আঁকড়ে ধরে সাবধানে অবরোহণ করতে করতে পায়ে হাঁটার ট্রেইলটা পেয়ে যায়। এখানে জঙ্গল অনেক ঘন। স্যাঁতসেঁতে আর ঝিঝি পোকার ডাকে কান তালা লেগে যাওয়ার উপক্রম। তার উপর ডাস মাছির মরণ কামড় আর জোকের উপদ্রপও বেড়েছে। নতুন আগুন্তুকের অবস্থান টের পেয়েই একদল লেমুর ও ছোট বানর সঙ্গীদের সর্তকবার্তা পাঠাতে থাকে। গাছ থেকে গাছে হুড়াহুড়ি পড়ে যায়। তাদের চিৎকারে গোটা বনটাই যেনো আরও সর্তক হয়ে উঠে। একদল কাঠ বিড়ালী দলটির চলার পথেই পাহাড়ী ফল নিয়ে খুনসুটিতে ব্যস্ত। আগুন্তুকদের পায়ের আওয়াজ তাদের খুনসুটিতে ব্যত্যয় ঘটায়। উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থেকে পরমুহূর্তেই চোখের পলকে হাওয়া হয়ে যায়। দলের খুমী চারজনের এই পথটুকু ভালই চেনা। সাহেবকে নিজেদের গ্রামে নিয়ে যাচ্ছে তাদের গ্রাম প্রধানের নিমন্ত্রণে।

গভীর বন পেরিয়ে পথের শেষে ছোট একটা নদী। নাম পীখ্যং। ঠিক নদী হয়তো নয় অনেকটা খালের মতো তবে জলের স্রোত আছে। দলটি যতক্ষণে নদী পার হয়ে আসে ততক্ষণে সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়তে শুরু করেছে। সুবিধে মতো একটা জায়গা বেছে নিয়ে দলের তিন জন সাহেবের তাঁবু খাটাতে লেগে যায়। বাকিদের কেউ রান্নার আয়োজনে। দু’জন পাশের ঝিরিতে মাছের সন্ধানে চলে যায়। তাঁবু খাটাতে যে সময়টুকু লাগবে সে সময়টুকু বসে না থেকে সাহেবও ঐ দু’জনের সঙ্গী হন। খুমী ছেলে দুটো সাথে করে নিয়ে এসেছে বিশেষ একধরণের লতা গাছ । ঝিরির একটা জায়গায় পাথর দিয়ে তারা বাঁধের মতো তৈরি করে। যাতে ছোট ডোবার মতো তৈরি হয়। তারপর সেই জলে লতাগুলো ভিজিয়ে দেয় এবং বাঁশের হুকুও তামাক খেয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। সাহেব ঝিরির পাড়ে দাঁড়িয়ে মাছ ধরার কৌশল দেখছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই জলের ভিতর মাছেদের চঞ্চলতা বেড়ে যায়। তারও কিছু পরে প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় একটি-দু’টি করে ভেসে উঠে পানির উপরে । প্রয়োজন মতো মাছ নিয়ে ফিরে আসতে আসতে দিন গড়িয়ে সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসে। সাহেবের তাঁবুর সামনেই আগুন জ্বলছে সেই সাথে রান্নার কাজও। সাহেবই শুধু তাঁবুতে ঘুমাবেন আর বাকীদের খোলা আকাশের নিচে। দু’জন পালা করে তাঁবু পাহাড়া দিবে। বলা তো যায় না-এই বনে ভাল্লুক, বন বিড়াল এমনকি বাঘেরও দেখা মেলে। আহার পর্ব শেষ করে সাহেব বেশ কিছুক্ষণ গল্প করে তাঁবুতে চলে যান। কাছেপিঠেই পাথরের একটা বড় চাইয়ের মতো, ওখানটাতে বাকীদের ঘুমের আয়োজন। রাতচোরাসহ আরও কিছু পাখি সারা রাত ধরেই অবিরাম ডেকে চলেছে। কি যেনো কোন অজানা বিরহে বিবাগী প্রেমিক পাখির হাহাকার। এমন রাতে সত্যিই মনের ভিতরটা হুহু করে উঠে, ঘুম আসতে চায় না। তাঁবুর ভিতরে শুয়ে থেকে কতো কথা মনে পড়ে সাহেবের। এই নির্জন চরাচরে সকলেই যখন নিদ্রায় তখন রাত জাগা পাখির সাথে জেগে থাকে আরও একটি মানুষ । তাঁবুর ভিতর ক্ষীণ আলোতে সাহেব তাঁর দিনপুঞ্জির খাতায় আপন মনে লিখতে থাকেন নিত্যকার কথাগুলো।

ভোরে আলো ফুটার আগেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। সাহেব তাঁবু ছেড়ে বের হয়ে এসেছেন। দু-তিন জন এখনও পাথরের চাইয়ের উপর কুণ্ডলীপাকিয়ে ঘুমুচ্ছে। কুয়াশার মতো মেঘ ঢেকে দিয়েছে সব কিছু। কেবলি ঝিরির জলের শব্দ। এ বেলার পাঠ চুকিয়ে দলটি আরও পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। আরও এক দিনের পথ। পথে ছোট-খাট পাহাড়, ঝিরি আর জঙ্গল তো থাকবেই। সাহেব তাঁবু থেকে একটু দূরে হাঁটতে গিয়ে দেখা পেলেন দুটো হরিণ জল পান করতে এসেছে। আহা সেকি যুগল! হরিণ দুটোর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা আগুন্তুকের অবস্থান ঠাহর করতে পারেনি। সাহেব ঠাঁই দাঁড়িয়ে গেলেন। জল পান শেষে হরিণ দু’টো লাফাতে লাফাতে বনের ভিতর অদৃশ্য হয়ে যায়। এমন দৃশ্য শত বছরের দুঃখকেই কাবু করে দেয়। সাহেব ফিরে এসে চায়ের কাপ হাতে হরিণের গল্প করেন। সাহেব বন্য প্রাণী দেখে যতটা বিষ্মিত হন ঠিক ততটাই বিষ্মিত হয় দলের লোকেরা সাহেবকে দেখে। পাকা আঙুরের মতো গায়ের রং, পাট করা হাল্কা সোনালি চুল, শক্ত চোয়াল, দীর্ঘকায় গঠন আর চোখের ভাষা সেতো সবারই দৃষ্টি কাড়ে। দলের থেকে একজন এগিয়ে এসে বলতে শুরু করে, একবার হাতির একটা দলের সাথে তার দেখা হয়ে যায়। দলটিতে ১০০টির মতো হাতি ছিল। কিভাবে হাতির দলটিকে পাশ কাটিয়ে সে গ্রামে ফিরে এসেছিল। সেই গল্প নানা অঙ্গভঙ্গিতে ফুটিয়ে তোলে খুমী যুবকটি। সত্যি বলতে অরণ্যচারী এই মানুষগুলোর সাথে নিত্য সাক্ষাৎ হয় বন্য প্রাণীকূলের। কি মানুষ-কি প্রাণী সকলেই অদৃশ্য এক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে শত বছর ধরে ভাগাভাগি করছে এই অরণ্য। হায় সভ্যতা, তুমি কেড়ে নিলে সেই সব সোনালি দিনগুলো।

পাহাড় পেরিয়ে, ঝিরি পথে বুক অব্দি জলে ডুবে, পিচ্ছিল পাথর গলে, হাঁটু সমান কাদা আর ঘন বাঁশ বন সেই সাথে গিবন, লেমুর, হলদে পেট কাঠ বিড়ালী, বাদামী কাঠ বিড়ালী, বুনো গয়াল, নকূল, দানব অজগরের সাক্ষাৎ শেষে দলটি যখন বড় নদীর কাছে এসে পৌঁছায় তখন সন্ধ্যা হয় হয়। কারও মুখে কথা নেই। কালাদান বেশ বড় নদী। নদী থেকে খানিকটা দূরেই তাঁবু খাটানো হল। দলটির সঙ্গে আরও পাঁচজন খুমী যুক্ত হয়েছে। তারা গ্রাম সর্দারের নির্দেশে নৌকা নিয়ে এসেছে। আগুন জ্বেলে সকলেই বৃত্তাকারে বসে আছে, সাহেব নানা গল্প আর অভিজ্ঞতার কথা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নিচ্ছেন। শুক্লা নবমীর সেই রাতে ‘সেমুল’ গাছের রেজিন হতে জ্বালানো আগুনে সাহেবকে ওরা দেবদূতই হয়তো ভেবে ছিল। কখন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত গভীর হতে চলেছে তার খেয়াল কারো নেই। হোক রাত, যাকনা সময়…। ভোরে বাক্স-পেটরা নৌকায় তোলা হল। দুটি নৌকা। একটিতে সাহেবসহ সাত জন। অন্যটিতে মালসামানাসহ বাকীরা। নদী ধরে ঘন্টা তিনের পথ। তারপর তিয়্যানওই (Teynwey) এর গ্রাম।

নদী ছেড়ে ছোট একটি খাল ধরে এগিয়ে চলে নৌকা। পাহাড়ের ফাঁক গলে খালটি বয়ে চলেছে। দু’ পাশের পাহাড় বেশ খাড়া আর ঘন জঙ্গল। অল্প কিছু দূর যাবার পর খাড়া পাহাড়গুলো পিছনে পরে আর সামনে ধরা দেয় অপেক্ষমান মানুষের জটলা। নৌকা দু’টি সাবধানে পাড়ে ভিড়ে। শিশু, নারী, যুবক, বৃদ্ধ সকলেই কৌতুহলী চোখে দেখে নৌকা থেকে নেমে আসছেন সাহেব। তিয়্যানওই ততক্ষণে উঁচু পাড় হতে জলের কাছাকাছি চলে এসেছে। দু’হাত সামনে বাড়িয়ে আলিঙ্গন করে একে অপরকে। নদী ছেড়ে সরু পায়ে হাঁটা পথ ধরে সাহেবকে সাথে নিয়ে সকলেই পা বাড়ায় গ্রামের পথে। ছোট একটি জঙ্গল পার হয়ে যে পাহাড় পরে তার উপর থেকে অল্প দূরেই চোখের সামনে ধরা দেয় গ্রামটি। এ যেন গহীন অরণ্যে লুকায়িত মনিমাণিক্য, ঠিক যেমনটি ঝিনুক মুক্তা পুষে রাখে তার বুকের ভিতর। গ্রামটির চারপাশেই পাহাড়। ঘরগুলো মাটি থেকে চার-পাঁচ ফুট উঁচুতে মাচাংয়ের উপর। বাঁশ, আস্ত গাছের খুঁটি আর শনের ছাউনি দিয়ে তৈরি। গ্রামে ঢুকার সাথে সাথেই দু’ একটি কুকুর চিৎকার করে এগিয়ে আসে, পরক্ষণেই গ্রামের লোক দেখে থেমে যায়। সাহেবকে নিয়ে যাওয়া হয় তিয়্যানওই এর ঘরে। ঘরের সামনে উন্মুক্ত মাচাংয়ে গাছের গুড়ি কেটে বানানো কেদারায় সাহেব বসে আছেন। প্রস্তুতি চলছে একটি অনুষ্ঠানের। আজ বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন সাহেব আর তিয়্যানওই।

গ্রাম থেকে অল্প দূরে নদীর ধারে যতসামান্য সমতল যতটুকু জায়গা আছে সেখানে শক্তপোক্ত একটি খুঁটি পোঁতা হয়েছে। নির্দিষ্ট তালে ঢোল বেজেই চলেছে। সেই শব্দটা এমনই যেনো মোহাবিষ্ট হতে হয়। বার বার কেবলি কাছেই ডাকবে, গায়ে কাটা দিয়ে উঠবে প্রথমে তারপর যতই শুনতে থাকবে ততই মোহাবিষ্ট হবে। এ যেন সেই প্রাচীন যুদ্ধের দামামার শব্দ। সাহেব বুট জুতো ছেড়ে পরে নিলেন এক প্রস্থ কাপড়। অনেকটা ধূতির মতো করে কুচি দিয়ে পরে নগ্ন পায়ে এগিয়ে গেলেন সেই স্থানটির পানে। একে একে হাজির হলো গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ আর যুবকেরা। সকলেই নগ্ন পায়, পরনে নেনালিচি নেংটি আর মাথায় সাদা লুপ্যা পেঁচানো। সাহেব ও অন্য আরও সর্দারগণ সকলেই উপস্থিত। প্রধান সর্দার ইয়্যাঙ যুদ্ধে ব্যবহার হয় এমন একটি দা হাতে সেই খুঁটির কাছে দাঁড়িয়ে। সারিবদ্ধভাবে যুবক ও গ্রামের পুরুষেরা দাঁড়িয়ে আছে। তাদের কারো হাতে বর্শা, ঢাল ও লাঠি। মেয়েরা অনেক দূরে নগ্ন বক্ষ, পরনে নেনা। চুলে খোপা করে তাতে লুপ্যা পেঁচানো। বাহুতে পিতলের বালা, কারো কানে রূপোর বড় দুল কেওবা কানের ফুটোতে আস্ত ফুল গুজে আছে। পায়ে খাড় আর কোমরে বিছা।  দু’জন যুবক গয়ালের একটি বাছুরকে নিয়ে আসে। কে জানে গয়ালটি হয়তো বুঝতে পারে কি হতে চলেছে, তাই পা সামনে বাড়াতে তার অনীহা। কিন্তু পেশিবহুল দুই যুবকের শক্তির কাছে তাকে পরাজিত হতে হয়। গয়ালটির ঘাড় টেনে কিছুটা নিচু করে বেশ আটসাঁট করে সেই খুঁটির সাথে বাঁধা হয়। যাতে খুঁটিটি মাথা ও দেহের মাঝখানে থাকে এবং রশির একটি অংশ সাহেবের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। অপর একটি রশি দিয়ে গয়ালের পিছনের পা দুটি বেঁধে একটি অংশ ধরে থাকে তিয়্যানওই ও অন্যান্য সর্দারা। ইয়্যাঙ দা হতে এগিয়ে আসে। চোখ রাখে সাহেবের চোখে তারপর তিয়্যানওইয়ের চোখে। এরপর পাশের হাড়িতে রাখা ‘সিপাহ্’ মুখ ভরে নিয়ে ছিটিয়ে দেয় সাহেবের উপর। তারপর তিয়্যানওই ও তার সঙ্গীদের উপর। সবশেষে আরও একবার সিপাহ্ নিয়ে ছিটিয়ে দেয় গয়ালটির উপর। গয়ালের গা থেকে খামছে এক মুঠো লোম তুলে আনে এবং সেই লোম বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে বায়ু ও জলের দেবতাকে উচ্চস্বরে আহ্বান করে। সেকি আহ্বান! বুকে কাঁপুনি ধরে সেই আহ্বানে। ঢোলের বাদ্য থেমে যায়, তারপর যুদ্ধের দা’টি বার-কয়েক ঘুরিয়ে মাথার উপর তোলে এক কোপে মুন্ডচ্ছেদ। সাথে সাথে হর্ষধ্বনিতে কেঁপে উঠে চরাচর। পাহাড়ের কাছে গাছ থেকে এক ঝাঁক পাখি শব্দ করে উড়ে যায়। উষ্ণ রক্ত ফিনকি দিয়ে বের হয়ে আসে। কাটা মুণ্ডটি গড়িয়ে পড়ে। চোখ তখনও খোলা। প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে পা ছুড়তে থাকে মুণ্ডহীন দেহটি। তারপর ধীরে ধীরে সব শান্ত হয়ে আসে। কেবলি আলুং, আতু ,প্লং আর ঢোলের শব্দ ধীরে ধীরে গাড় হতে থাকে। হাত দিয়ে উষ্ণ রক্ত কপালে আর পায়ে মেখে নেয় উপস্থিত সকলেই। তারপর বিরবির করে শপথ করে- যে উদ্দেশ্যে এই উৎসর্গ করা হল, এখানে উপস্থিত কেউ যদি তা ভঙ্গ করে বা মিথ্যে অভিনয় করে তবে তাকেও সঙ্গীরা ঠিক এভাবেই হত্যা করবে। সাহেব আজ সাহেবি পোষাক খুলে এই অরণ্যভূমিতে বুনো আদিমতায় অভিষিক্ত। মাটির গন্ধ, শিকারের গন্ধ তার চোখে মুখে। বলি দেয়া গয়ালটির পা জোড়া করে বেঁধে তার ভিতর শক্তপোক্ত একটি বাঁশ দিয়ে কাঁধে ঝুলিয়ে গ্রামের দিকে ছুটছে ছয় খুমী যুবক। কাটা মুণ্ডটাও একজন খামছে ধরে আছে, সেটা হতে তখনও দুই-এক ফোটা রক্ত ঝরছে।

গ্রাম জুড়ে সাজ সাজ রব। মেয়ে-ছেলে কি বুড়ি সকলেই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। গয়ালের মাংসে আজ হবে মহাভোজ। ততক্ষণে সাহেবের তাঁবু খাঁটানো হয়ে গেছে। তাঁবুর সামনেই গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে আড্ডায় ব্যস্ত সাহেব। কিছু তরুণ এসে একটি খেলা দেখার অনুরোধ করে। তিয়্যানওই সাহেবকে সেই খেলা দেখার কথা বলতেই সানন্দে রাজি হয়ে যান। গ্রামের মাঝখানটায় অনেকটা সমতল মাঠের মতো। চার কি পাঁচ ফুট লম্বা শক্ত একটি বাঁশের দুই প্রান্তে দুই যুবক দাঁড়িয়ে বাঁশের প্রান্তটি তাদের বাহুর নিচে শক্ত করে আটকিয়ে নেয়। তারপর কে কাকে ঠেলতে ঠেলতে মাটিতে ফেলতে পারে তার কসরত শুরু হয়। প্রথমে দ্বৈত লড়াই হলেও একটু পরেই বাঁশের একেক প্রান্তে আরও কয়েক জন জুটে যায়।  সে দেখবার মতো দৃশ্য, কেউ সহজে হার মানতে চায় না। একদল ঠেলে কিছুটা পিছনে নিয়ে যায় তো অপর দল শূন্যে তোলে মাটিতে ফেলতে চায়। কখনও কখনও লাফিয়ে লাফিয়ে নানা কায়দা করে মাটিতে ফেলার চেষ্টা চলে। সেই কসরত দেখে সাহেবসহ গ্রামের সকলেই হেঁসে গড়িয়ে পড়ে। এক সময় একটি দলের একজনের পা পিছলে যায় আর সুযোগ বুঝেই অপর দল তাদের সবাইকে মাটিতে ফেলে দেয়। সাহেব করতালি দিয়ে বিজয়ী দলকে অভিবাদন জানান এবং পরক্ষণেই নিজেই খেলায় অংশ নিবেন বলে মাঠে নেমে আসেন। একপাশে সাহেব ও সর্দারগণ অন্য পাশে বিজয়ী দল। সেকি লড়াই। সাহেব ততক্ষণে সে খেলায় কিছুটা ধাতস্ত হয়ে উঠেছেন। সব শেষে সাহেবদের হারিয়ে যুবকদের দলটি পুনরায় বিজয় ছিনিয়ে নেয়। সাহেব ধুলো ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়িয়ে জানতে চান এই খেলার নাম কি? এক সঙ্গে উত্তর আসে ‘আথো-আচকে’।

মধ্যাহ্ন শেষে বিকেল আসে। রান্নার আয়োজনও শেষের পথে। গ্রামের প্রান্তে বড় ঘরটাতে সাহেবসহ বয়োজ্যেষ্ঠরা কদুলি পত্রে আহারে বসেছেন। তরুণীরা একে একে পরিবেশন করছে নানা খাবার। ছেলে বুড়ো সকলের আহার শেষ হতে হতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। শুক্লা দশমির মৃদু জোছনার সাথে জ্বলে উঠে অনেকগুলো মশাল। হাড়ি ভরে চলে আসে ‘সিপাহ্’। নারী-পুরুষ সকলেই সেই পানীয়তে গলা ভেজায়। নানা অলঙ্কারে সেজে তরুণ-তরুণীরা শুরু করে নৃত্য-‘তাং-ন’। হাতে হাত ধরে সারিবদ্ধ হয়ে বাঁশি আর ঢোলের তালে নেচে চলে। চাঁদ ও মশালের সেই মায়াবী আলোতে তরুণ-তরুণীদের বাহু, কপোল ও ললাট সোনা রঙে চকচক করে।

এ গল্পের যেনো শেষ নেই। সাহেব গভীর রাতে তাঁবুতে ফিরে ডায়েরি খুলেন। না! এইসব দিনরাত্রিগুলো থেকে যাক অধরাই, কেবলি স্মৃতির পটেই থাকুক। কাগজে লিপিবদ্ধ হউক অন্য কিছু। তারপর পুরো গ্রাম ঢলে পড়ে ঘুমের দেশে কেবলি জেগে থাকে পাহাড়গুলো। তাদের বুঝি নিদ্রা নেই, দিবা কি রাত্রি  ভূমিপুত্রদের বুকে আগলে রাখে।

শেয়ারTweetপাঠিয়ে দিন
লৌহিত্য মানস

লৌহিত্য মানস

একইরকম লেখা

দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ
বাংলাদেশ

দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

এপ্রিল ৩, ২০২২
kopital_1
বাংলাদেশ

গিলাছড়ির চার বোন

জুন ২৫, ২০২০
আরো দেখতে
পরের আর্টিকেল
1

বনের পথে প্রাণের পথে

মন্তব্য ১০

  1. Avatar Jahan Shahnaj says:
    2 বছর ago

    অসাধারন বাস্তব একটি লেখা। পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো আমিও যেনো সাহেবের সাথের এক সংগী।পাহাড়গুলো,তাদের জীবনধারা, সংস্কৃতি আমাদের গর্ব। এই পাহাড়ী ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।
    যাই বলি না কেনো, বার বারই আমার পাহাড়ে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে।

    জবাব
    • মির্জা রাসেল মির্জা রাসেল says:
      2 বছর ago

      ধন্যবাদ ভাই

      জবাব
  2. Avatar রূপাঞ্জন গোস্বামী says:
    2 বছর ago

    খুব ভালো লাগলো। প্রকৃতির পটভূমিকায় এরকম গল্প আজ বাংলা সাহিত্যে প্রায় বিরল। মুষ্টিমেয় কিছু লেখক লেখেন। বাকিদের লেখা গল্প না হয়ে ভ্রমণকাহিনী হয়ে যায়।যদিও পড়তে মন্দ লাগে না। কিন্তু এই গল্পটি সত্যিই অন্য স্বাদের। যাঁরা সোঁদা মাটি ও বুনো জঙ্গলের গন্ধ মাখা গল্প পড়তে চান , এ গল্প তাঁদের জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ ‘ সেভ দা হিল অ্যান্ড নেচার ‘ – এর কতৃপক্ষকে। ম্যাগাজিনের যাত্রাপথ অবিস্মণীয় হোক।

    জবাব
    • মির্জা রাসেল মির্জা রাসেল says:
      2 বছর ago

      অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

      জবাব
  3. Avatar Salma says:
    2 বছর ago

    খুব ভালো লাগল, মনে হচ্ছিল গল্পটা পড়তে পড়তে খুব কাছ থেকে প্রকৃতির এক একটা দৃশ্য অনুভব করতে পারা।
    ধন্যবাদ লেখক কে।

    জবাব
    • মির্জা রাসেল মির্জা রাসেল says:
      2 বছর ago

      আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য আমাদের অনুপ্রেরণা। লেখকের পক্ষ থেকে আপনাকেও ধন্যবাদ।

      জবাব
  4. Avatar Shaikat Hasan says:
    2 বছর ago

    অপুর্ব লিখা, যখন পড়া শুরু করলাম,কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম, এরকম আরও লিখা চাই

    জবাব
    • মির্জা রাসেল মির্জা রাসেল says:
      2 বছর ago

      ধন্যবাদ

      জবাব
  5. Avatar দীপ্তিমান জিতু says:
    2 বছর ago

    ভালো লাগলো খুব, প্রথমবার যখন পাহাড়ে যায়, সেই সময়টা উপল্বদ্ধি করছিলাম, পাহাড়ের বিভিন্ন রুপ দেখে কেবলই মুগ্ধ হচ্ছিলাম।

    জবাব
    • মির্জা রাসেল মির্জা রাসেল says:
      2 বছর ago

      ধন্যবাদ

      জবাব

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আপনিও লেখা পাঠাতে পারেন

প্রিয় পাঠক, লিখুন। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। প্রকাশ করুন নিজের প্রতিভা। পাহাড় ও প্রকৃতি বিষয়ক যেকোনো লেখা সর্বোচ্চ ১০০০ শব্দের মধ্যে গুছিয়ে লিখে, আপনার নিজের ছবি  সহ মেইল করতে পারেন আমাদের ইমেইল ঠিকানায়। চাইলে নীচের লিঙ্কের মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন আপনার লেখা।

লেখা পাঠাতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

  • টপলিস্টে
  • মন্তব্য
  • সাম্প্রতিক
kopital_1

গিলাছড়ির চার বোন

জুন ২৫, ২০২০
দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

এপ্রিল ৩, ২০২২
lewin

কল্প লোকের গল্প নয়

আগস্ট ৩০, ২০২০
Andes

আন্দিজ পর্বতমালা

এপ্রিল ৭, ২০২০
kopital_1

গিলাছড়ির চার বোন

18
lewin

কল্প লোকের গল্প নয়

10
bawm

পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ‘বম’

9
human

বুদ্ধিমান প্রাণীকূলের স্বেচ্ছাচারিতা অতঃপর অসহায়ত্ব

7

Rumor calls out Windows 95 as the reason Microsoft skipped version 9

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২

Download Screen Recorder For Windows 10 Best Software & Apps

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২

How to Upgrade Your Computer From Windows 8 to Windows 11

সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২

What is Exception EAccessViolation on in module ? Tom’s Guide Forum

সেপ্টেম্বর ২, ২০২২

পাঠকপ্রিয় আর্টিকেল

  • kopital_1

    গিলাছড়ির চার বোন

    131 shares
    শেয়ার 131 Tweet 0
  • দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

    0 shares
    শেয়ার 0 Tweet 0
  • কল্প লোকের গল্প নয়

    0 shares
    শেয়ার 0 Tweet 0
  • আন্দিজ পর্বতমালা

    0 shares
    শেয়ার 0 Tweet 0
  • জুম : জীবিকা ও বাস্তবতা

    0 shares
    শেয়ার 0 Tweet 0

বিভাগ অনুসারে

  • Dating Online
  • Dll-Files
  • গবেষণা ও প্রবন্ধ
  • জলবায়ু
  • জীবন ও সংস্কৃতি
  • জীববৈচিত্র
  • দুর্যোগ
  • দূষণ
  • নদী ও জীবন
  • পর্বতারোহণ
  • প্রতিবেদন
  • বনাঞ্চল
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • ভ্রমণ
  • হিমালয়
Save The Hills & Nature

সবুজ অরণ্যঘেরা পাহাড় দেখে আমারা পুলকিত হই, মেঘের মিতালি দেখে হই বিমোহিত। আর যখন মেঘ আর সবুজ অরণ্য ঘেরা পাহাড়ে চোখে পড়ে ছোট্ট একটি ঘর একাকি দাঁড়িয়ে, তখন ভাবনা আর ভাললাগার মাত্রাটি বৃদ্ধি পেয়ে যায় বহুগুণ।

সাম্প্রতিক খোঁজখবর

  • Rumor calls out Windows 95 as the reason Microsoft skipped version 9
  • Download Screen Recorder For Windows 10 Best Software & Apps
  • How to Upgrade Your Computer From Windows 8 to Windows 11
  • What is Exception EAccessViolation on in module ? Tom’s Guide Forum
  • Best dating sites

সামাজিক মাধ্যমে এসটিএইচএন

  • পরিচিতি
  • যোগাযোগ
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • ENGLISH

© ২০১৯ সেইভ দ্যা হিলস এন্ড নেচার কর্তৃক সকল অধিকার-স্বত্ত সংরক্ষিত - ওয়েবসাইট নির্মাণ কোডসপাজল

কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখতে চাই
  • নীড়
  • পরিচিতি
  • পরিবেশ
    • জলবায়ু
    • দূষণ
    • দুর্যোগ
  • পর্বতকথা
    • বাংলাদেশ
    • বিশ্ব
    • হিমালয়
    • পর্বতারোহণ
  • বিভাগ
    • জীববৈচিত্র
    • বনাঞ্চল
    • নদী ও জীবন
    • ভ্রমণ
    • জীবন ও সংস্কৃতি
  • কার্যক্রম
    • প্রকৃতি পাঠ
    • প্রতিবেদন
    • গবেষণা ও প্রবন্ধ
  • ছবিঘর
  • যোগাযোগ

© ২০১৯ কপিরাইট সেইভ দ্যা হিলস এন্ড নেচার কর্তৃক সংরক্ষিত - ওয়েবসাইট নির্মাণ কোডসপাজল

error: Website is protected !!