Save The Hills & Nature
  • নীড়
  • পরিচিতি
  • পরিবেশ
    • জলবায়ু
    • দূষণ
    • দুর্যোগ
  • পর্বতকথা
    • বাংলাদেশ
    • বিশ্ব
    • হিমালয়
    • পর্বতারোহণ
  • বিভাগ
    • জীববৈচিত্র
    • বনাঞ্চল
    • নদী ও জীবন
    • ভ্রমণ
    • জীবন ও সংস্কৃতি
  • কার্যক্রম
    • প্রকৃতি পাঠ
    • প্রতিবেদন
    • গবেষণা ও প্রবন্ধ
  • ছবিঘর
  • যোগাযোগ
Save The Hills & Nature
  • নীড়
  • পরিচিতি
  • পরিবেশ
    • জলবায়ু
    • দূষণ
    • দুর্যোগ
  • পর্বতকথা
    • বাংলাদেশ
    • বিশ্ব
    • হিমালয়
    • পর্বতারোহণ
  • বিভাগ
    • জীববৈচিত্র
    • বনাঞ্চল
    • নদী ও জীবন
    • ভ্রমণ
    • জীবন ও সংস্কৃতি
  • কার্যক্রম
    • প্রকৃতি পাঠ
    • প্রতিবেদন
    • গবেষণা ও প্রবন্ধ
  • ছবিঘর
  • যোগাযোগ
Save The Hills & Nature
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখতে চাই

গঙ্গাপূর্ণার পাঁজরে রূপবতি মানাং

ফেরদৌস রলিন লিখেছেন ফেরদৌস রলিন
জানুয়ারি ১৯, ২০২০
বিভাগ ভ্রমণ
0
গঙ্গাপূর্ণার পাঁজরে রূপবতি মানাং

পিঠে ব্যাগ, আর তার বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত সরঞ্জাম হিসেবে ঝুলছে এক জোড়া রাবারের পাদুকা, দুটি লাঠি আর শুকনো খাবারের পুটলি। সমুদ্র সমতলের সাথে ব্যবধান যত বাড়ছে নিজের শরীর সহ সব কিছুর ওজন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ধুলি মিশ্রিত কঙ্কর পথ, বুটের চাপায় ফস-স-স শব্দে ছড়িয়ে পরছে মিহি ধুলিকণা। পড়নের প্যান্ট ঢেকে পড়েছে এক পড়ত ধূসর আবরণে। ঐ দূরে মানাং, হাত ছানি দিয়ে ডেকে যাচ্ছে সেই ওবেলা থেকে কিন্তু পথ তো ফুরোবার নয়! কয়েক দিন হল কেবল হাঁটছি আর হাঁটছি; মাউন্ট গঙ্গাপূর্ণার পরম আদরে গড়ে ওঠা ছোট্ট বসতি মানং এর উদ্দেশ্যে। পর্বতশ্রেণীর মাঝ দিয়ে চলার পথ। হিম শীতল বাতাস তার নিত্য সঙ্গী।

উপত্যকায় আপন মনে চড়তে থাকা চরমী গাই এর পাল ক্ষণে ক্ষণেই চলে আসে পথের মাঝে। দীর্ঘ লোমের আবরণে ঢাকা একেকটা গাই স্বভাবে শান্ত। অথচ প্রথম দেখায় যে কেউ আঁতকে উঠতে পারে। ওদিকে রুক্ষ পর্বতের পেছন থেকে সর্বদাই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শ্বেত বরফের আস্তরণে ডুবে থাকা পর্বত শৃঙ্গের সারি। এসবে আর হবার নয়, মানাং পর্যন্ত তর সইছে না, খানিকটা খেয়ে নিলে শরীরে বল শক্তি বলে কিছু একটা ফিরে পাওয়া যাবে। আগের রাতে যেখানে ছিলাম, গৃহকর্তৃ পরম যত্নে বুক বা বাক হুইটের কয়েকটা রুটি বানিয়ে দিয়েছিলেন। সাথে পাতায় মোড়ানো মুলা, পেয়াজ ও শুকনো মরিচের সালাদ। মুলার আচার দিতে চাইলে না বলেছি। লম্বা ফালি করে কেটে বিশেষ পদ্ধতিতে বানানো; কেমন যেন বাসী স্বাদের। কিন্তু এই মুলার আচার তাদের যে কোন খাবারের প্রিয় অনুসঙ্গ।

মানাং বলে যে একটা জায়গা আছে এবং সেখানে মানুষ বাস করে তা সর্বপ্রথম যেনেছিলাম ইয়েথেন নামের এক ইসরাইলি পর্বত আরোহীর কাছ থেকে। যতদূর মনে পড়ে ভ্রমণ প্রেমি ইয়েথেনের সাথে আলাপ হয়েছিল আজ থেকে চৌদ্দ-পনর বছর আগে কোন এক হেমন্তের সকালে নেপালের অন্যতম পর্যটন নগরী পোখারায়। হঠাৎ পরিচয় ও কয়েক ঘন্টার আলাপে সে যে সমস্ত জায়গার গল্প করেছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মানাং। আমার আজও মনে পড়ে গল্পের এক পর্যায়ে সে হারিয়ে গিয়েছিল অন্য কোন ভুবন। বেশ খানিকক্ষণ পর হারিয়ে যাওয়া ভুবন থেকে ফিরে এসে যখন একটা তৃপ্তির ঢোক গিলে নিল; দেখে মনে হল যেন মনে মনে সত্যিই মানাং থেকে সংক্ষিপ্ত একটা ভ্রমণ দিয়ে এল।

এরপর থেকেই আমার মনের মধ্যে ইয়েথেনের অপূর্ব বর্ণনার মানাং দেখার বাসনা তৈরি হয়। অবশেষে আমার সেই কৈশর এবং যৌবনের সন্ধিক্ষণে জন্মানো বাসনার একটি স্বার্থক পরিনতি ঘটে কয়েক বছর পর। মানাং নেপালের একটি জেলা। এর অবস্থান অন্যপূর্ণা সংরক্ষিত অঞ্চলের অধীনে মারসায়াংদী নদীর সুপ্রস্ত উপত্যকায়।

হিম শীতল রুক্ষ পাহাড়ে সপ্তাহ খানেক নিরন্তর পথ চলার অন্তে হুমডে চেকপোস্টে আনুষ্ঠানিকতার পর্ব, খুব জানতে ইচ্ছা করল, ইদানিং কি পরিমান অভিজাত্রী এদিকটায় আসছে? কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য এন্ট্রি খাতা উল্টেপাল্টে দেখে বলেন, গতকাল সারাদিনে ৭২ এবং পরশুদিন ৫৯ জন চেকপোস্ট পেরিয়ে গেছে। যতদূর দুচোখ যায় কেবল ধু ধু রুক্ষ পর্বতমালা, দু’চার মাইলের মধ্যে জনমানুষের চিহ্ন নেই, নেই কোন বসতি। বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এমন পরিবেশে নড়বড়ে ছোট্ট ছাউনির তলে দেখা মেলে খর্বাকৃতির এক গুরুং নারীর। তার সাহসের তারিফ করতে হয়। পুরাতন সামগ্রী ও তিব্বতিয়ান কিছু অলঙ্কার নিয়ে বসে আছেন। পছন্দ হওয়ার পরও কোন কিছু কিনতে পারলাম না, কারণ পথ অনেক বাকি, অর্থের সঙ্কট ঘটানো অনুচিৎ বলে মনে হল।

পথে মুগি নামক বসতির পর থেকেই দেখা যায় বিভিন্ন দৈর্ঘের চওড়া প্রাচীর। উচ্চতা চার ফুটের বেশি নয়। তার উপর দিয়ে সাজিয়ে রাখা বহু পাথর খন্ড। পাতলা ও মশৃণ পাথরগুলোর প্রত্যেকটা আলাদা ও ভিন্ন রকম আবার ভাঙ্গা টুকরোও রয়েছে। খাঁড়া বা হেলান দিয়ে রাখা পাথরগুলোর বিশেষত্ব হল, এগুলো কেবলই পাথর নয়, স্থানিয় ভাষায় খোদাই করা লিপি। কোনটাতে বানী, কোনটাতে কাহিনী আবার কোনটাতে অঙ্কিত রয়েছে মহামতি বুদ্ধের নানা ভঙ্গিমার চিত্র ও কথামালা। স্থানিয়ভাবে বলা হয় ’নামে’ যা, সম্প্রতি থেকে বহু প্রাচীন কালের।

ঘরিতে তখন কয়টা বাজে জানা নেই, তবে সম্মুখে বরফ ঢাকা পর্বত চুড়ায় শেষ বেলার রোদের ঝলক লেগেছে। এরই মাঝে মাথা উঁচু করে রয়েছে গঙ্গাপূর্ণা। তার অল্প নিকটেই ভেসে ওঠা আধফালি চাঁদ। ঠিক তার নিচে গঙ্গাপূর্ণা লেক। সবশেষে আরও নিচ দিয়ে বয়ে গেছে নদী। এমন জমজমাট সৌন্দর্যের টানে গেস্টহাউজের ছোট্ট খোলা বারান্দা থেকে উঠতে মোটেই ইচ্ছা হচ্ছিল না। জায়গা করে নেই মানাং এর সবচেয়ে সহজলভ্য গেস্টহাউজগুলোর একটিতে। পাথরের উপর পাথর সাজিয়ে নড়বড়ে কাঠামোর পুরোনো দুইতলা ঘর, যেন জোরেসোরে এক ধাক্কা দিলেই গড়িয়ে পড়বে পেছনের খাঁদে।

ঘর বরাদ্ধ হয় উপর তলায়। ঠান্ডা জলে হালকা স্বতেজ হয়ে বেড়িয়ে পড়ি শহর ছেড়ে গ্রামের বসতির দিকে। দৌর্ঘ-প্রস্থে ছোট্ট হলেও স্থান বিচারে এটা একটা শহরই বটে। সার্বিক বিবেচনায় মানাংকে শহর বললে ভুল হবে না, কারণ এখানে আছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যাদুঘর, পর্যটন বোর্ডের কার্যালয় ও পরামর্শ কেন্দ্র সহ একাধিক ক্ষুদে থিয়েটার হল। থিয়েটারে প্রদর্শিত হয় পর্বত আরোহণ ও বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কীয় সিনেমা এবং সচিত্র প্রতিবেন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন জিনিস পত্রের দোকান ও পানশালা।

একান্তই কৌতুহল বশত পা বাড়াই বসতি অর্থাৎ শহরের লাগোয়া গ্রামের দিকে। গ্রামের বেশিভাগ ঘরবাড়ির দরজায় শেকল উঠানো। বিরাজ করছে শুনশান নিরবতা। ভুল করে কোন কাক পক্ষিও ডেকে উঠছে না। হাঁটতে হাঁটতে পেয়ে যাই গুম্ফা। তিব্বতিয়ান ধারার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রার্থণালয় সাধারণত গুম্ফা বলে পরিচিত। গুম্ফার পথে ভাঙ্গাচোড়া এক দেয়ালে শক্ত একটি বিজ্ঞপ্তি আঁটা ‘গ্রামে প্রবেশ করে বোতল, খাবারের অপচনশীল মোড়ক অথবা অন্য কিছু ফেলে পরিবেশ নোংরা করলে ৫০০ রুপী জরিমানা!’

এই বিষয়টি আমার কাছে খুবই শিক্ষণীয় বলে মনে হল। ইচ্ছে হল বসতির সমস্ত মানুষকে ডেকে এক জায়গায় জড়ো করে বিশেষ একটা সাধুবাদ জানাই। এক পা দু’পা করে উপস্থিত হলাম গুম্ফার কাছাকাছি। ভিতরে সা’র হয়ে বসেছেন লামাগণ, নিচু শব্দে সমস্বরে ধর্মীয় বাণী বা কিছু একটা উচ্চারণ করছেন। গুরুগম্ভীর পরিবেশ, বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে অস্বস্তি হল। অতএব, কায়দা করে খানিক পর সুড় সুড় করে বেড়িয়ে পরলাম।

পাশের ঘরটায় বসেছেন বেশ কিছু মানুষ, চলছে পেয়ালা পেয়ালা রাকসির আস্বাদন। গল্পগুজবে মুখোর পরিবেশ। ঠিক তার লাগোয়া বড় ঘরে রান্না চলমান। একই সাথে চলছে পরিবেশন। অংশগ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করার আগেই সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতে বলা হল। বিশেষ কোন দিন বা উপলক্ষ হয়ে থাকবে বোধহয়। এবার আর বুঝতে বাকি রইল না কিসের জন্য সারাটা বসতি ফাঁকা পড়ে আছে। ডাল, সবজী রান্না হয়েছে। কি দারুণ ঘ্রাণ ছড়িয়েছে! সাথে তেলে ভেজে তোলা বড় বড় পুরি। অধিকন্তু, এক মগ করে চরমী গাই এর দুধের টাটকা চা। স্ব-সম্মানে হঠাৎ আগত অতিথিকে পরিবেশন করা হল। রান্না ঘরের সমস্ত দায়িত্ব নারীদের।

সেখানে পেয়ে যাই আমারই মত আর একজন; মীনা সুকোমুতোকে। এসেছে সুদূর জাপানের টোকিও থেকে। খাবার ঘর থেকে বের হতে নিয়েও সুকোমুতো আমার সাথে আরও কিছুক্ষণ থেকে গেল। তাতে অবশ্য আমার বেশ ভালো লাগল। কয়েক দিন হল সে মানাং-এ রয়েছে, সকাল থেকে তাদের সাথে রান্নার কাজেও হাত লাগিয়েছে। সদালাপী সুকোমুতোর সাথে পিড়িতে বসে চললো নাতিদীর্ঘ আলাপ, এদিকে গরম চায়ের পেয়ালায় দু’একটা চুমুক। ইতিমধ্যেই জড়ো হয়ে গেল পাঁচ ছয়টি শিশু। শিশুর দল এবং রান্নার দায়িত্বে থাকা নারীদের সাথে বেশ কিছুটা প্রণবন্ত সময় কাটল।

অতঃপর সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দুজনে বেড়িয়ে পড়ি মানাং-এর রাস্তায়। হাঁটতে হাঁটতে ভাগাভাগি করছিলাম অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির দু’চারটি কথা। এমনি করে আলাপ মোড় নেয় নিজ নিজ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দিকে। এ পর্ব চললো বেশ কিছুক্ষণ। আলাপের এক পর্যায়ে মন ভারি হয়ে যায়, যখন জানতে পাই সে থাইল্যান্ড, মায়ানমার এবং ইন্ডিয়া হয়ে নেপাল ঘুরতে এসেছে কিন্তু বাংলাদেশ সম্বন্ধে তেমন কিছু জানে না। অথচ, তাদের দেশ সম্বন্ধে আমাদের কত কিছু জানা।

সেই ছোট বেলায় বড় ভাই-বোনদেরকে পড়তে দেখেছি ’চিন-জাপানের শিশু’ বা এই রকম কোন একটা নামের গল্প, যা তাদের পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভূক্ত ছিল। আমার এখনও মনে আছে ভাই-বোনদের পড়া শুনতে শুনতে সেই গল্পের অনেকটা আমার মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। যাহোক, মনে মনে ভাবলাম, শুধু সুকোমুতো কেন, জীবনে তো এমনও মানুষ পেয়েছি, যে আমার দেশের নামই শোনেনি।

মানচিত্রে বিবরণ দেখে জানতে পারলাম মানাং এর উচ্চতা ৩৫৪০ মিটার। আমার মাথার পেছনটায় ব্যাথা অনুভবের মধ্য দিয়ে উচ্চতা জনিত সমস্যা ধরা পড়ে। মানাংকে ছাড়িয়ে যেসব অভিযাত্রী আরও এগিয়ে যেতে চায়, উচ্চতার সাথে শরীরকে মানিয়ে নিতে তাদের বড় এক অংশ সেখানে এক বা দুই দিন অথবা তারও বেশি সময় অবস্থান করে এবং কিছু কসরত করে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গিয়ে বসি গেস্টহাউজের ডাইনিং-এ। মোটা খুঁটিতে ঝুলছে একটি ঢোল সদৃশ বাদ্য যন্ত্র।

যন্ত্রের অদৃশ্য টানে এগিয়ে গিয়ে টুক-টাক দু’চার টোকায় কয়েকটা গানের মুখ গাওয়ার চেষ্টা চালাই। হিন্দী গানে গলা মেলায় হাউজের নারী ব্যবস্থাপক। স্বভাবে চঞ্চল ব্যবস্থাপক বেজায় খুশি, সাথে সাথে চলে এল এক গ্লাস রাকসি (ঘরে তৈরি পানীয়)। গান গাওয়ার পুরস্কার নয়, দাম মেটাতে হয়েছে গুনে গুনে ত্রিশ রুপী। ডাইনিং এর সম্মুখ ভাগে এক পাশে চলছে টিভি, কোথাও স্থির নেই, পরিভ্রমণ চলছে একের পর এক হিন্দী চ্যানেলে।

মানাং এর অধিবাসীরা জাতিতে গুরুং এবং ধর্মের দিক থেকে তিব্বতিয়ান ধারার বৌদ্ধ। তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার তারিফ করতে হয়। ঘরের সব দেয়ালে সাজানো ঐতিহ্যবাহী বাসন-কোসন বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করছে। ফাঁকে ফাঁকে সাজানো টবে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার পাহাড়ী ফুল গাছ ও পাতা বাহার। তারা খুব মিতব্যায়ী, এমনও জিনিস যার ব্যবহার শেষ হয়ে গেছে; ফেলে না দিয়ে তাকেও কোন না কোনভাবে কাজে লাগিয়েছে। রান্নার ধরণ ও মান এখানকার প্রায় সব রেস্টুরেন্টেই এক। যেহেতু সারা পৃথিবী থেকে অভিযাত্রী আসে তাই তারা ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বের নানান অঞ্চলের স্বাদ ও রুচীর কথা মাথায় রেখে রান্না করতে সক্ষম। এসব পর্যবেক্ষণের এক ফাঁকে কথা হয় গেস্টহাউজের স্বত্তাধিকারী বৃদ্ধ ঝেলজেং গুরুং এর সাথে।

সব কথার মধ্যে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি গুরুত্ব পেল তা হল বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি যেন এক প্রকার স্বার্থকতাও খুঁজে ফিরলেন। বিদ্যুতের ব্যবস্থা স্থানিয়ভাবেই করা হয়েছে। অদূরে নদীর প্রবাহকে নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। পুরো কাজে ব্যবহৃত হয়েছে চাইনিজ প্রযুক্তি। অনেক যন্ত্রপাতিই বহুদূর থেকে হেলিকপ্টারে করে বয়ে আনা হয়েছে। এই বসতির বয়স সম্বন্ধে জানতে চাইলে ঝেলজেং গুরুং কয়েক মুহূর্তের জন্য নির্ববাক হলেন এবং উত্তরে জানালেন, মানাং শহরের প্রতিষ্ঠা ১৯৮৩ সালে কিন্তু পাশে তাদের গ্রামের বয়স কত তা তিনি জানেন না।

শুধু জানেন দুই- আড়াইশ বছর আগ থেকে তাদের পূর্ব পুরুষরা বসবাস করে আসছে। বৃদ্ধ ঝেলজেং গুরুং এর জীবনের নানান অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে শুনতে পেরিয়ে গেল অনেকটা সময়। রেস্টুরেন্টে বসে থাকা লোকগুলোও একে একে বিদায় নিয়েছে। বসে আছে তার মেয়ে। গালে হাত দিয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনছে বাবার জীবনের কথা। এমন কথা, যা হয়তো সে কোন দিনই শোনেনি।

ছবি : লেখক 

শেয়ারTweetপাঠিয়ে দিন
ফেরদৌস রলিন

ফেরদৌস রলিন

লেখক ও কবি-এই দুই সত্তার বাহিরে…নিখাদ পরিব্রাজক। ঘুড়ে বেড়িয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু জায়গা। সঙ্গীতে পারদর্শী মানুষটি পাহাড় ও প্রকৃতির সুরটিকেও আত্মস্থ করেছেন অসাধারণ নৈপুন্যে। বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তাঁর ভাবনার গন্ডি চিরচেনা জগতকেও ছাপিয়ে যায়। এসটিএইচএন এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

একইরকম লেখা

1
ভ্রমণ

বনের পথে প্রাণের পথে

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
হীম রুক্ষ নীল সরোবর তিলিচো’র পথ
ভ্রমণ

হীম রুক্ষ নীল সরোবর তিলিচো’র পথ

জানুয়ারি ১৯, ২০২০
আরো দেখতে
পরের আর্টিকেল
হীম রুক্ষ নীল সরোবর তিলিচো’র পথ

হীম রুক্ষ নীল সরোবর তিলিচো’র পথ

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আপনিও লেখা পাঠাতে পারেন

প্রিয় পাঠক, লিখুন। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। প্রকাশ করুন নিজের প্রতিভা। পাহাড় ও প্রকৃতি বিষয়ক যেকোনো লেখা সর্বোচ্চ ১০০০ শব্দের মধ্যে গুছিয়ে লিখে, আপনার নিজের ছবি  সহ মেইল করতে পারেন আমাদের ইমেইল ঠিকানায়। চাইলে নীচের লিঙ্কের মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন আপনার লেখা।

লেখা পাঠাতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

  • টপলিস্টে
  • মন্তব্য
  • সাম্প্রতিক
kopital_1

গিলাছড়ির চার বোন

জুন ২৫, ২০২০
দ্যা ওল্ড লেডি : ঙা হুঙ-এর মায়ারণ্যে

দ্যা ওল্ড লেডি : ঙা হুঙ-এর মায়ারণ্যে

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

এপ্রিল ৩, ২০২২
bawm

পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ‘বম’

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
kopital_1

গিলাছড়ির চার বোন

18
lewin

কল্প লোকের গল্প নয়

10
bawm

পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ‘বম’

9
human

বুদ্ধিমান প্রাণীকূলের স্বেচ্ছাচারিতা অতঃপর অসহায়ত্ব

7
ঝর্ণার খোঁজে চিম্বুকের অরণ্যে

ঝর্ণার খোঁজে চিম্বুকের অরণ্যে

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
দ্যা ওল্ড লেডি : ঙা হুঙ-এর মায়ারণ্যে

দ্যা ওল্ড লেডি : ঙা হুঙ-এর মায়ারণ্যে

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

এপ্রিল ৩, ২০২২
1

বনের পথে প্রাণের পথে

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০

পাঠকপ্রিয় আর্টিকেল

  • kopital_1

    গিলাছড়ির চার বোন

    131 shares
    শেয়ার 131 Tweet 0
  • দ্যা ওল্ড লেডি : ঙা হুঙ-এর মায়ারণ্যে

    0 shares
    শেয়ার 0 Tweet 0
  • দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ

    0 shares
    শেয়ার 0 Tweet 0
  • পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ‘বম’

    0 shares
    শেয়ার 0 Tweet 0
  • জুম : জীবিকা ও বাস্তবতা

    0 shares
    শেয়ার 0 Tweet 0

বিভাগ অনুসারে

  • গবেষণা ও প্রবন্ধ
  • জলবায়ু
  • জীবন ও সংস্কৃতি
  • জীববৈচিত্র
  • দুর্যোগ
  • দূষণ
  • নদী ও জীবন
  • পর্বতারোহণ
  • প্রতিবেদন
  • বনাঞ্চল
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • ভ্রমণ
  • হিমালয়
Save The Hills & Nature

সবুজ অরণ্যঘেরা পাহাড় দেখে আমারা পুলকিত হই, মেঘের মিতালি দেখে হই বিমোহিত। আর যখন মেঘ আর সবুজ অরণ্য ঘেরা পাহাড়ে চোখে পড়ে ছোট্ট একটি ঘর একাকি দাঁড়িয়ে, তখন ভাবনা আর ভাললাগার মাত্রাটি বৃদ্ধি পেয়ে যায় বহুগুণ।

সাম্প্রতিক খোঁজখবর

  • ঝর্ণার খোঁজে চিম্বুকের অরণ্যে
  • দ্যা ওল্ড লেডি : ঙা হুঙ-এর মায়ারণ্যে
  • দক্ষিণা হাওয়ায় পূবালী সমীরণ
  • বনের পথে প্রাণের পথে
  • কল্প লোকের গল্প নয়

সামাজিক মাধ্যমে এসটিএইচএন

  • পরিচিতি
  • যোগাযোগ
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • ENGLISH

© ২০১৯ সেইভ দ্যা হিলস এন্ড নেচার কর্তৃক সকল অধিকার-স্বত্ত সংরক্ষিত - ওয়েবসাইট নির্মাণ কোডসপাজল

কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখতে চাই
  • নীড়
  • পরিচিতি
  • পরিবেশ
    • জলবায়ু
    • দূষণ
    • দুর্যোগ
  • পর্বতকথা
    • বাংলাদেশ
    • বিশ্ব
    • হিমালয়
    • পর্বতারোহণ
  • বিভাগ
    • জীববৈচিত্র
    • বনাঞ্চল
    • নদী ও জীবন
    • ভ্রমণ
    • জীবন ও সংস্কৃতি
  • কার্যক্রম
    • প্রকৃতি পাঠ
    • প্রতিবেদন
    • গবেষণা ও প্রবন্ধ
  • ছবিঘর
  • যোগাযোগ

© ২০১৯ কপিরাইট সেইভ দ্যা হিলস এন্ড নেচার কর্তৃক সংরক্ষিত - ওয়েবসাইট নির্মাণ কোডসপাজল

error: Website is protected !!